খুদবা দেয়ার সময় কথা বলা কি জায়েজ ? । Rangpur Waz Tv । #waz #shaikhahmadullah #banglawaz

 খুতবা (খুতবা) দেয়ার সময় কথা বলা বা কথা বলার বিষয়ে ইসলামী শরিয়তের নির্দেশনা কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের অধীনে থাকে। এখানে খুতবা (নামাজের খুতবা) দেয়ার সময় কথা বলার প্রাসঙ্গিকতা এবং তা জায়েজ (অনুমোদিত) কি না তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:



১. খুতবার গুরুত্ব এবং নিয়মাবলী

খুতবার উদ্দেশ্য:

  • শিক্ষণ এবং উপদেশ: খুতবা সাধারণত জুমার নামাজের আগে দেয়া হয় এবং এটি মুসলমানদেরকে ইসলামী শিক্ষা, নৈতিকতা, এবং সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে উপদেশ দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • মোতবের: খুতবা মুসলিম সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশমূলক বক্তৃতা যা নামাজের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

খুতবার নিয়ম:

  • খুতবার সময় নিরবতা: খুতবার সময় উপস্থিতি মানুষের উচিত নিরব থাকা এবং খুতবার প্রতি মনোযোগী থাকা। এটি খুতবার গুরুত্ব এবং বিষয়বস্তুর প্রতি সম্মান প্রকাশ করে।

২. খুতবা চলাকালে কথা বলা

ইসলামী নির্দেশনা:

  • নিরবতা বজায় রাখা: ইসলামী শরিয়তে খুতবার সময় উপস্থিতি ব্যক্তিদের কথা বলা নিষিদ্ধ। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “যখন ইমাম খুতবা দিচ্ছে, তখন তোমরা চুপ করে বসো। কেউ যেন কথাবার্তা না বলে।” (মুসলিম)
  • নিরাপত্তা: খুতবার সময় কথা বলা শ্রোতাদের মনোযোগকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং খুতবার উদ্দেশ্য এবং বার্তা পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রয়োজনীয়তা:

  • মাধ্যম হিসেবে কথা বলা: কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন জরুরি অবস্থায়, ইমাম বা উপস্থিতি ব্যক্তি অন্যের সাথে কথা বলতে পারে, তবে এটি অত্যন্ত সীমিত এবং বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় হওয়া উচিত।

৩. ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি

জরুরি পরিস্থিতি:

  • বিশেষ পরিস্থিতি: যদি খুবই জরুরি কিছু ঘটে যেমন অসুস্থতা বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনীয়তার কারণে কথা বলা প্রয়োজন হয়, তখন প্রার্থনার সময়ের নিয়ম ভঙ্গ না করে এবং খুতবার প্রভাবিত না করে তা করা উচিত।

শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য:

  • উপদেশ: কখনো কখনো শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাখ্যা করা হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এটি খুতবার মূল উদ্দেশ্য এবং পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

৪. উপসংহার

খুতবা দেয়ার সময় কথা বলা ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সাধারণভাবে জায়েজ নয়। খুতবার সময় উপস্থিতির উচিত নিরব থাকা এবং খুতবার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগী থাকা। খুতবার মূল উদ্দেশ্য এবং বার্তা বজায় রাখতে সহায়তা করতে এটি অপরিহার্য। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে যেখানে কথা বলার প্রয়োজন হয়, সেটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করা উচিত যাতে খুতবার প্রভাব ও সম্মান বজায় থাকে।

মন্তব্যসমূহ